প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ বেড স্থাপনের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ৫ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে অগ্রগতির বিষয়টি আদালতকে জানাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন এ সংক্রান্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ এবং আইন অনুসারে তা প্রদর্শনের বিষয়েও অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে আদেশে। রিটকারীর আইনজীবীর এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। তিনি পরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ বেড স্থাপনের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা এক সম্পূরক আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কতটুকু এগিয়েছে সে বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত। তিনি বলেন, এর আগে হাই কোর্ট তার আদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকার বিষয় প্রতিবেদন চেয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। তাই বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতে আদালত পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’ ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই সময় প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ-সিসিইউ বেড স্থাপনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী। হিউম্যান রাইটস ল’ ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। রিট আবেদনে ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবেরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’-এর ১৪ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। এ ধারায় বলা আছে, ‘ডিজি (হেলথ) অথবা তার মনোনীত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এ অধ্যাদেশের অধীন কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবে না।’