প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ১০০ শিক্ষার্থীর তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, ডিজিটাল জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং ভর্তিতে সহায়তা করেছে। রবিবার ঢাবির রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এসব শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। সিআইডির এএসপি সুমন কুমার দাশ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, শাহবাগ থানায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর হওয়া ২৬ নম্বর মামলার সূত্রে এজহারনামীয়, তদন্তে প্রাপ্ত, গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের স্বার্থে ওই ১০০ শিক্ষার্থীর তথ্য প্রয়োজন।
২০১৭ সালে ঢাবির প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর সিআইডি বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ওই মামলাটি করেছিল। সিআইডির চাওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, শিক্ষাবর্ষ, ইউনিট, বিষয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল, সেমিস্টারভিত্তিক পরীক্ষার ফলাফল এবং পুনঃভর্তির বিস্তারিত।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ঢাবির প্রশ্ন ফাঁস এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত ৪৬ জনসহ প্রায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিলের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে এবং তদন্তে যাদের সন্দেহ করছি তাদের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তথ্যটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।