সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সবাই একাত্ম হন মুক্তি সংগ্রামে

তানিয়া তুষ্টি

সবাই একাত্ম হন মুক্তি সংগ্রামে

মুক্তি আন্দোলনে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় দেশ আরও উত্তাল হয়ে পড়ে ১৯৭১ সালের ১১ মার্চ। এর আগের দিন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সমরাস্ত্রসহ একটি জাহাজ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সমরাস্ত্র আনার প্রতিবাদ জানিয়ে ১১ মার্চ ‘স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ’-এর চার ছাত্রনেতা জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

১১ মার্চ নিজ নিজ অবস্থান থেকে মুক্তির সংগ্রামে একাত্মতা ঘোষণা করেন সবাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক সভায় মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আবেদন জানানো হয়। গণআন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের এক দিনের বেতন আওয়ামী লীগের ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

আদালতে         যাওয়া থেকে লোকজন বিরত থাকায় ১১ মার্চ আদালত অচল হয়ে পড়ে। অপরদিকে গণহত্যার প্রতিবাদে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর পাকিস্তান সরকারের এক চিত্রপ্রদর্শনীতে যোগদানে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি তিনি দেশের চিত্রশিল্পীদেরও যোগদানে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এদিন কুমিল্লা কারাগার থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন পাঁচ কয়েদি। অন্যদিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ২৪ কয়েদি পালিয়ে যান। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি উলফ এদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বঙ্গবন্ধু তার কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সমরসজ্জায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর