দেশে ঋণখেলাপিদের যত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ততই খেলাপি বাড়ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নে আমাদের ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যে ধরনের নিয়মকানুন ছিল, সেখানে ফিরে যেতে হবে। সম্প্রতি আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা মেনে নিতে হবে। পাশাপাশি আবারও ঋণখেলাপিদের জন্য বিশেষ সুবিধার যে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে।’ খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক ঋণ আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস যে অবস্থানে ছিল, সেখানে ফিরে যেতে হবে। এই পরামর্শ আমি ২০১০ সালের জানুয়ারিতেও দিয়েছিলাম। তখন আমি বলেছিলাম, ঋণ পুনঃ তফসিল দুইবারের বেশি করা যাবে না। ঋণ পুনঃ তফসিলের সময় ১০ শতাংশ নগদ পরিশোধ করতে হবে। এসব শর্ত ভঙ্গ করা হলে ঋণের পুনঃ তফসিলীকরণ বাতিল করা হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, এক পরিবারে দুইজনের বেশি মালিক রাখা যাবে না। আবার একজনকে চার বছরের বেশি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে রাখা যাবে না। এটি করতে পারলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তার মতে, এযাবৎকালে ঋণখেলাপিদের যত বেশি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে, দেশে ততই বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। তাই ব্যাংক ঋণ আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনসকে ২০০৯ সালের জানুয়ারির অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে।