সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলি

বিএনপির ৩০ নেতা কর্মী জেলে

পাবনা প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণের মামলায় বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রুস্তম আলী এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, অন্যতম আসামি পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু এবং বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলীয় কর্মসূচির ট্রেনবহর পাবনার ঈশ্বরদী স্টেশনে প্রবেশের মুহূর্তে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়। আদালত সূত্র জানিয়েছে, একই আদালতে আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে। যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণা করা হবে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরটি প্রবেশের মুহূর্তে অতর্কিতে শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করা হয়।

 স্টেশনে ট্রেনবহর যাত্রাবিরতি করলে আবারও হামলা হয়। ফলে দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সে সময়কার ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃ তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। কিন্তু আদালত পুলিশের সেই রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠায়। পরে সিআইডি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এই দীর্ঘ ২৫ বছরে চার্জশিটভুক্ত সাত আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।

সর্বশেষ খবর