টক-মিষ্টি স্বাদের লটকন ফলকে সরাসরি বা জ্যাম তৈরি করে খাওয়া যায়। বর্ষার মৌসুমে ফলটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফল বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। মৌসুমী এই ফলটির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা প্রচুর। যেমন- ১. লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানে দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া ফলটিতে রয়েছে আমিষ, লৌহ ও খনিজ পদার্থ। ২. লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতায় ডায়রিয়া উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরাতন জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ। ৩. প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। এতে ক্যালরি আছে জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। ৪. লটকনে ভিটামিন বি-১ আছে ১০.০৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ আছে ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ। ৫. অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম আছে লটকনে যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ৬. লটকন খেলে সহজেই বমি ভাব দূর হয়। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায়।