মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

কেঁচো সারে স্বাবলম্বী কুজাইলের নারীরা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

কেঁচো সারে স্বাবলম্বী কুজাইলের নারীরা

রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের একটি আদর্শ গ্রাম কুজাইল। এ গ্রাম কম্পোস্ট সারের গ্রাম বলে পরিচিত। মেরুদ-হীন প্রাণী কেঁচো এ গ্রামের মহিলাদের মেরুদ- সোজা করতে ভূমিকা রাখছে। কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে তারা আজ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও বাজারজাত করে সংসারে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন সিআইজি (সবজি) সমবায় সমিতির মহিলারা। তাদের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার কেজির বেশি উন্নতমানের কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হচ্ছে। এতে জনপ্রতি খরচ বাদে মাসিক আয় থাকছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত কম্পোস্ট সার চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। উন্নতমানের এ সার নিজেদের সবজি খেতে ব্যবহার করাসহ গ্রামের অন্য কৃষকও এই সমিতির কাছ থেকে কম্পোস্ট জৈব সার কিনে তাদের খেতে ব্যবহার করছেন। এতে এ এলাকায় দিন দিন ফসলের খেতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রবণতা কমছে, আর পরিবেশবান্ধব কেঁচো সার ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমিতির দলনেত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমি গ্রামের কয়েকজন মহিলা নিয়ে দলীয়ভাবে আমাদের পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষ করতাম।

 খেত থেকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করার উপায় জানতে কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন কৃষি অফিস ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও মাটির উত্তম স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নামের এক প্রযুক্তির আওতায় কেঁচো লালন-পালন, গোবর সংগ্রহ, হাউস বা চাড়িতে দেওয়া, কম্পোস্ট সার তৈরির পর সেগুলো সংগ্রহ, সার প্যাকেজিং, বাজারজাতকরণসহ নানা বিষয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বর্তমানে আমাদের কারখানায় ১০টি বড় হাউস রয়েছে। শতাধিক মাটির চাড়িতে এ কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছি আমরা। আমাদের দেখাদেখি গ্রামের অধিকাংশ মহিলা এ সার উৎপাদন করছেন।’

সর্বশেষ খবর