মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নব্য আর সুবিধাবাদীদের প্রভাব আওয়ামী লীগে

ক্ষমতা ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে ভেঙে পড়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। জেলার শীর্ষস্থানীয় পদধারী নেতাসহ সংসদ সদস্যরাও নৌকার বিপক্ষে মাঠে নামেন। যে কারণে বেলকুচি, কামারখন্দ ও তাড়াশে নৌকার ভরাডুবি হয়। তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব চলছে।  দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। জেলার এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। গুটিকয় সুবিধাবাদী-নব্য আওয়ামী লীগার সুবিধা পেলেও দলের ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলার প্রতিটি বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন সংসদ সদস্যের নিকটজনসহ গুটিকয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা আছে। মাঝে-মধ্যে বালুমহাল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে ত্যাগী নেতাদের দূরত্ব ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। আর নব্য আওয়ামী লীগ ও সুবিধাভোগীরা এমপিদের প্রিয়জন হয়ে উঠছেন। সুবিধাভোগীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন টেন্ডার, টিআর কাবিখা, সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ, স্কুল-কলেজের দফতরি নিয়োগসহ সব ধরনের কর্মকা । জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাস জানান, দল গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলছে। দলে আদর্শগত বা নীতিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজয় হয়নি। ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে। বর্তমানে দলে নব্য যারা তারাই সুবিধা পাচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন। তার মতে, দলের তৃণমূল কমিটিতে নব্য আওয়ামী লীগাররা ঢুকে পড়েছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়নের কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর