টেকনাফ ও চট্টগ্রামে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল দুই রোহিঙ্গা মাদককারবারি ও এক হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
টেকনাফ (কক্সবাজার) : টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদককারবারি নিহত হয়েছে। গতকাল ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হল মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার সিকদার পাড়ার মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে মো. জামাল (২৭) ও একই এলাকার মো. জাফর আলমের ছেলে মো. ইউনুছ (২১)। টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, হ্নীলা দক্ষিণ দমদমিয়া এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান ধরতে বিজিবি অভিযান চালালে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা গুলি চালাতে থাকে। বিজিবিও তখন পাল্টা গুলি ছোড়ে। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে ১০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। গোলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, দুইটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও তিনটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. আইয়ুব (২৬) নামে হত্যা মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। গতকাল নগরীর অনন্যা আবাসিক সংলগ্ন দক্ষিণ কুয়াইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আইয়ুব হাটহাজারী থানার কুয়াইশ এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে। চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট বিসিক এলাকায় দুজন শ্রমিক ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় বাচ্চু হাওলাদার নামে এক শ্রমিক বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
তার দেওয়া তথ্যমতে, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন তখন দক্ষিণ কুয়াইশ এলাকায় অবস্থান করছিল। পুলিশ সেখানে গেলে তারা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ওসি বলেন, পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।