ঢাক-ঢোলের তালে গ্রাম বাংলার গান আর বৈঠার ছন্দ মাতিয়ে তুলেছিল যমুনার ঢেউকে। আর সেই ছন্দে তাল মিলিয়ে নদীর তীরে লাখ লাখ শিশু-কিশোর-কিশোরী এমনকি বৃদ্ধ পর্যন্ত নেচে-গেয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করেছেন। গত বছরের ন্যায় এবারও সিরাজগঞ্জের মানুষকে একটু নির্মল আনন্দ-বিনোদন এবং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে গতকাল বিকালে জেলা পরিষদ নদীর শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে নৌকাবাইচের আয়োজন করে।
বাইচ শুরুর আগে বিকাল ৩টা থেকে নদীতীর মানুষে ভরে যায়। শুধু সিরাজগঞ্জ জেলা নয়, আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকেও হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমীরা নৌকাবাইচ দেখতে আসেন। প্রতিযোগিতায় ৩০টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। শেষে সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। নৌকাবাইচ দেখতে পেয়ে সবাই বিপুল আনন্দ উপভোগ করেছেন। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী জানান, বিনোদনপ্রেমী মানুষ যাতে সুন্দরভাবে নৌকাবাইচ উপভোগ করতে পারে এ জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস জানান, যমুনাবিধৌত সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষকে নির্মল বিনোদন এবং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না জানান, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়তে খেলাধুলা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। যুব সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে বিরত রাখতে পারে সুস্থধারার সংস্কৃতি ও বাংলার ঐতিহ্য খেলাধুলা।
আর এ কারণেই বাংলার ঐতিহ্য নৌকাবাইচের আয়োজন। আজ লাখ লাখ মানুষ নৌকাবাইচ দেখতে যমুনাপাড়ে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের মনে আনন্দে বইছে। বিশেষ করে শিশুরা বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ সম্পর্কে জানতে পেরেছে।