কান চুলকানোর অভ্যাস অনেকের রয়েছে। সারাক্ষণই কানে কটন বাডস দিয়ে চুলকানোর বদভ্যাস বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছুক্ষণের আরামের জন্য আসলে কানের পর্দার ক্ষতি করছেন তা অনেকেই টের পান না। কটন বাডস দিয়ে অহেতুক খোঁচাখুঁচি করতে বরাবরই মানা করে থাকেন চোখ-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। কটন বাড ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা বলছে, যারা কথায় কথায় কানে কটন বাডস দিয়ে চুলকাচ্ছেন তাদের ৩০ শতাংশ মানুষই জানেন এটা ক্ষতির কারণ। কানের ময়লাকে পর্দার কাছে ঠেলে আর তরুণাস্থিকে আঘাত করে ক্ষতি করে কটন বাডস। কটন বাডের তুলা অসাবধানতায় কানে ঢুকে গেলে তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কটন বাডসের খোঁচানোয় প্রতি দিনই কানের অডিটরি লোবকে উত্তেজিত করে তার অভ্যন্তরীণ ক্ষতি করছি আমরা, তা কি জানা আছে? কটন বাডের খোঁচায় কানের তরুণাস্থিকে বিপদে ফেলার মানে, এরা নষ্ট হয়ে দুর্বল করে দিচ্ছে শ্রবণশক্তি। অনেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কটন বাডস দিয়ে কানের ভিতরের আঠালো পদার্থ বের করে আনেন। কানের ভিতরের আঠালো পদার্থ আমাদের কানের জন্য ভালো। তা কানের পর্দাতে বাইরের সংক্রমণ ও ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। ঘন ঘন অহেতুক কটন বাডস ব্যবহারে, কানের ময়লা আরও কানের পর্দার কাছে-দূরে ঠেলে দেয়। কানের নরম টিস্যুতে আঘাত লাগে। কান যেহেতু শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে, তাই বাডসের প্রভাবে শ্রবণশক্তি ক্ষয় হওয়ার পাশাপাশি শরীরের সাম্যও নষ্ট হয়।