সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে বীভৎসভাবে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা শিশুর যৌনাঙ্গ ও কান কেটে পেটে ছুরিকাঘাত করে পাশবিক কায়দায় হত্যা করেছে। তাদের বর্বরতা এখানেই থেমে থাকেনি, শিশুটির পেটে জোড়া ছুরি ঢুকিয়ে রেখেছে তারা। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে স্মরণকালের এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
গতকাল ভোরে কেজাউরা গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে শিশু তুহিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুর পিতা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মছব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির ও জাকিরুল এবং চাচি ও চাচতো বোনকে আটক করা হয়েছে। কোমলমতি ওই শিশুকে এমন নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত স্বজনরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বইছে নিন্দার ঝড়।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতে তুহিনের বাবা দুই ছেলেকে নিয়ে এক বিছানায় ঘুমান। রাত ১টার দিকে তুহিন প্রস্রাব করতে ঘর থেকে বের হয়। ৩টার দিকে তুহিনকে বিছানায় না দেখে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে কদম গাছে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। দুর্বৃত্তরা পৈশাচিক কায়দায় তার কান ও যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে তার বাবা-চাচাসহ পরিবারের সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকের আগে নিহত তুহিনের বাবা আবদুল বাছির বলেন, ‘প্রতিবেশী কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। কারা ছেলেকে এমন পৈশাচিকভাবে খুন করল কিছুই বলতে পারছি না।’ এদিকে, শিশু তুহিনের খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে গোয়েন্দাসহ মাঠে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এটিকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুর পরিবারের সাতজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শিশু হত্যা নিয়ে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত বলা যাচ্ছে না।তবে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।’