সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণ

ইটের টুকরো যেন বোমার স্প্লিন্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ইটের টুকরো যেন বোমার স্প্লিন্টার

চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারে এখন শোকের মাতম। বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ ভবনের পাশেই আরেকটি ভবনে পরিবার নিয়ে থাকতেন পটিয়ার মেহের আটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া। সকালে ছিল প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ডিউটি। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে একটু সামনে আসতেই বিস্ফোরণে দেয়াল চাপায় তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী শিকলবাহা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) পলাশ বড়ুয়া। অপর নিহত নুরুল ইসলাম (৩১), পেশায় রং মিস্ত্রি। তিনি থাকতেন নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বাস্তুহারা কলোনিতে। পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনে তিনি রঙের কাজ করছিলেন। সকালে কাজে যাওয়ার সময় বড়ুয়া ভবনের উল্টো দিকের টং দোকান থেকে তিনি পান-বিড়ি কেনার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। ওই টং দোকানি মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘বিস্ফোরণে দেয়ালের ইটের টুকরো ছিটকে এসে রং মিস্ত্রি নুরুল ইসলামের গায়ে-মাথায় লাগে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় মঞ্জুরের টং দোকানও ভেঙে পড়ে আমার গায়ে আঘাত পাই।’ নিহত হন জুলেখা খানম ফারজানা (৩০) ও তার ছেলে আতিকুর রহমান (৮)। তারা থাকতেন পাথরঘাটা এলাকায়। ছেলে নিয়ে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন গৃহিণী ফারজানা। পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোড অতিক্রম করার সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে দুর্ঘটনা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘একটি ইটের টুকরা আতিকুর রহমানের মুখ দিয়ে ঢুকে তা আবার নাক দিয়ে বের হয়ে যায়। ইটের টুকরোগুলোকে মনে হয়েছে স্প্লিন্টারের মতো। এগুলো এমনই শক্তিশালী হয়ে ওঠে।’ ফারজানার স্বামী আইনজীবী আতাউর রহমান হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছেলে আতিকুর রহমান পড়ত সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে আতিফুর রহমান (৫) পড়ে নার্সারিতে। 

সর্বশেষ খবর