বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

একনেকে ৯ হাজার ২৪১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পিয়াজের বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার কারণেই মূলত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অবশ্য গত কয়েক মাস ধরে টানা অস্থিরতা বিরাজ করছে দ্রব্যমূল্যের বাজারে। শাক-সবজি, মাছ, মাংস, চাল, আদা, রসুন, পিয়াজ, আলু ইত্যাদি খাদ্যপণ্যের বাজার চড়া।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে, যা গত অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৮ ভাগ। অন্যদিকে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৭ ভাগ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে। এতে বাড়তি মূল্যস্ফীতির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৬৮ ভাগ। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয়টি খুবই পরিষ্কার, আমরা গোপন করিনি। একনেক সভায় আমরা মন্তব্য করেছিলাম, মূল্য বৃদ্ধির প্রধান নায়ক হলো পিয়াজ। নতুন পিয়াজ নামার পর স্থির হবে, মূল্য কমবে বলে আমার আশা।’ তিনি বলেন, ‘পাঁচ-সাত বছর ধরে দেখে আসছি যে মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, ওই মাসে অটো খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমে। আবার যে মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বাড়ে, ওই মাসে খাদ্যে কমে। এটা ঘরে বসে সরেজমিন ধরনের হয়ে গেছে কিনা? সরকারের যে লক্ষ্য, তা যেন স্থির থাকে, সে অনুযায়ী বিবিএস কাজ করছে কিনা?’ বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৬ দশমিক ৪১ ও ৫ দশমিক ৩৭ ভাগ; যা গত অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৪৯ ও ৫ দশমিক ৪৫ ভাগ। গত এক বছরে (২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত) সারা বছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এদিকে গতকাল একনেক সভায় প্রায় ৯ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ৩১৫ কোটি ১ লাখ এবং ঋণসহায়তা আসবে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যানসারি কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৯ ও ১১৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত জেলা মহাসড়ক (জেড-৮২০৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের (এন-৭০৪) কুষ্টিয়া শহরাংশ চার লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প ও ‘নাগেশ্বরী-কাশিমপুর-ফুলবাড়ী-কুলাঘাট-লালমনিরহাট জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলার তিনটি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) (প্রথম সংশোধন)’ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর