ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটের তারিখ নির্ধারণে আজ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুপুর আড়াইটায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্ব এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সূত্র জানিয়েছে,  নির্বাচন কমিশনের ৫৭তম সভার আটটি এজেন্ডার মধ্যে প্রথম এজেন্ডায় রয়েছে (ক) ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণ; এরপর ইসির সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে- (খ) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০১৯-এর খসড়া প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ, সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ, খসড়ার ওপর দাবি/আপত্তি গ্রহণ, নিষ্পত্তি, সন্নিবেশকরণ এবং চূড়ান্ত প্রকাশনার তারিখ নির্ধারণ; (গ) নির্বাচন পদক নীতিমালা অনুমোদন; (ঘ) জাতীয় ভোটার দিবস ২০২০ উদযাপন সম্পর্কিত; (ঙ) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ বাজেটের প্রমিতকরণ-সংক্রান্ত নীতিমালা; (চ) গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ২০১৯-এর খসড়া চূড়ান্তকরণ; (ছ) সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০১৯-এর খসড়া চূড়ান্তকরণ; (জ) বিবিধ। সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৬ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২৬-২৭, ২৮-২৯ অথবা ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ বিবেচনা করা হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়, বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রচারণায় পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ভোটের জন্য সাধারণত ৩৮-৪০ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালেও ৪০ দিন সময় রাখা হয়েছিল। এক্ষেত্রে ২২ ডিসেম্বর তফসিল দিয়ে ৩০ জানুয়ারি ভোট করলে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রচারণায় সময় থাকবে ৩৯-৪০ দিন। আর ২৬, ২৭ ডিসেম্বর ভোট হলে ৩৬-৩৭ দিন হাতে থাকবে। ২৮-২৯ ডিসেম্বর ভোট হলে ৩৮-৩৯ দিন হাতে থাকবে। সেই হিসাবে প্রচারণা পর্যন্ত সময় দিতে ইসি ২৮, ২৯ অথবা ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ বিবেচনা করতে পারে। তবে প্রচারণার সময় কম দিতে চাইলে ২৬ অথবা ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন হিসেবে বেছে নিতে পারে ইসি। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, জানুয়ারি শেষে ভোট করতে হলে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর মার্চে ভোট করতে হলে ফেব্রুয়ারিতেই তফসিল হবে।