গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভুয়া পরিচয় দিয়ে এক পথচারীর ব্যাগ তল্লাশি করেন মোটরসাইকেলের চার আরোহী। রাজধানীর কমলাপুরে মোটরসাইকেলে এসে সুমন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির পথরোধ করে বলেন, আমরা ডিবি পুলিশের লোক। আপনার ব্যাগে অবৈধ মালামাল আছে। এ কথা বলে তার ব্যাগ তল্লাশি করতে চান এবং মোটরসাইকেলে উঠতে বলেন। এরপরই তার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ২৭ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর দিনদুপুরে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে সোনার দোকানের কর্মচারী সুমন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত চার আরোহীকে আসামি করা হয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো ওই চক্রের কেউ ধরা পড়েনি। তবে এখনো এর কোনো কূলকিনারা খুঁজে পায়নি পুলিশ। মতিঝিল থানা পুলিশ জানায়, ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ২৭ লাখ টাকা ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও ছায়া তদন্ত করছে। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোনার দোকান মহারানী জুয়েলার্সে বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন সুমন চৌধুরী। ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রতিষ্ঠানের পুরনো ৬০ ভরি সোনা নিয়ে তাঁতীবাজারে আসেন তিনি। সেখানে সোনা বিক্রি করেন মোট ২৭ লাখ ২২ হাজার টাকায়। এরপর দুই ভরি সোনা আর ওই টাকা একটি লাল কাপড়ের ব্যাগে ঢোকান। পরে ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাওয়ার জন্য তাঁতীবাজার থেকে প্রথমে দিশারি পরিবহনে গুলিস্তান আসেন। এরপর বিআরটিসির বাসে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কমলাপুর ট্রাফিক সিগন্যাল এলাকায় পৌঁছান। মতিঝিলের কমলাপুরের ৬ নম্বর বাস কাউন্টারের সামনে আসেন ৪টা ৪০ মিনিটে। তখন দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন লোক তার কাছে এসে ডিবি পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে বলেন-সুমনের কাছে অবৈধ মালামাল আছে। মোটরসাইকেলে উঠতে বললে সুমন ভয়ে তাদের মোটরসাইকেলে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা সুমনের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পীরজঙ্গি মাজারের দিকে দ্রুত চলে যান। সুমন পেছনে দৌড়ালেও শেষ পর্যন্ত ধরতে পারেননি। যারা ভুয়া ডিবির পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করেছেন তাদের বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪২ বছর। মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন মোল্লা জানান, ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ২৭ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনার মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে। তবে এখনো কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাননি তারা।