সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২১ দিনের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২০’। সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে এ উৎসব। এসব সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠন। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টায় থাকছে একটি লোকনাট্যের পরিবেশনা। গতকাল ছিল ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের তৃতীয় দিন। এদিন বিকালে একাডেমির নন্দনমঞ্চের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির শিল্পীরা। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার শিল্পীরা পরিবেশন করেন অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে কারিশমা আবৃত্তি সংগঠনের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পী শুপ্ত, হিসাম, সাফিন, সাফান, জাবের ও লিথি। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা। এরপর জেলার পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসে মেহেরপুর জেলার শিল্পীরা।
এতে ‘মেহেরপুর আমাদের মেহেরপুর’ সমবেত সংগীতটি পরিবেশন করে সুলতানা টনি, রোকসানা, রাসেল, আমজাদ হোসেন, আসাদুল ইসলাম, মিনারুল ইসলাম ও জিনারুল ইসলাম। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে অনামিকা, প্রিয়া, অনুভা, প্রজ্ঞা, আরিফা, মায়াবী, বনান্তী, হৃদিতা, ফারিয়া। যন্ত্রসংগীত পর্বে বাঁশিতে সুর তোলেন মো. আশিকুর রহমান লাল্টু। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী তানিম মাহমুদ ও উপজেলা পর্যায়ের ফৌজিয়া আফরোজ তুলি। এরপর জেলার পরিবেশনা পর্বে সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, একক সংগীত পরিবেশন করে কুড়িগ্রাম জেলার শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী সাজু ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মুনতাহিনা মামুন মুমু। কুষ্টিয়া জেলার পরিবেশনায় সমবেত নৃত্য, সমবেত সংগীত, একক সংগীত পরিবেশন করেন সরকার আমিরুল ইসলাম। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন সুজন, জাহিদ, বাসুদেব চক্রবর্তী ও আশি। সবশেষে রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনীর বিনিময়ে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পকলা একাডেমি কুড়িগ্রাম পরিবেশিত লোকনাট্য ‘হামার কুড়িগ্রাম’। ২৩ জানুয়ারি শেষ হবে ২১ দিনের এ সাংস্কৃতিক উৎসব।