বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের জন্য মামলার নথিপত্র ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম মামলাটি স্থানান্তরের আদেশ দেন। নিয়ম অনুযায়ী এখন এখতিয়ারসম্পন্ন জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় গত ৩ ডিসেম্বর আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামিদের ব্যক্তিগত কোনো মালামাল না থাকায় ক্রোক করা যায়নি। এরপর পলাতক আসামিদের হাজির হতে গত ৫ জানুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে ১২ দিনের মাথায় আত্মসমর্পণ করেন আসামি মোর্শেদ। অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়। ২১ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম আবরারের বাবার করা হত্যা মামলার এজাহারে আছে। তারা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনীক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত। বাকি পাঁচজনের নাম তদন্তে বেরিয়ে আসে। তারা হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।