বাগেরহাট-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে গতকাল জাতীয় সংসদ সর্বসম্মত শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। চলতি সংসদের সদস্য হওয়ায় সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী দিনের সব কার্যসূচি স্থগিত রেখে বৈঠক মুলতবি করা হয়। মরহুমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও রুহের মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে মোনাজাত করা হয়। তিনি গত ১০ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। শোক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা বলেন, ডা. মোজাম্মেলের মৃত্যুতে দেশবাসী একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবিদকে হারাল। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম ও শাজাহান খান, আ ফ ম রুহুল হক, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও আবুল কালাম আজাদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মো. নূরুজ্জামান আহমেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান। আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে মোজাম্মেল হোসেন দক্ষমতার সঙ্গে কাজ করেছেন। অসহায় মানুষকে তার সেবা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু তার কর্ম আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। মতিয়া চৌধুরী বলেন, তার বাড়ি ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য অবারিত। কোনো রোগীর টাকা না থাকলে তার ওষুধ কেনার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন তিনি। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তিনি একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলেন। রাশেদ খান মেনন বলেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন।