জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চারণের ওপর জোর দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করতে বলেছে আদালত। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ দুই বছর আগে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেয়। নির্দেশনা পালন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্টার জেনারেল বরাবর দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান চেয়ে ২০১৭ সালে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মতামত তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবী তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, কোর্ট বলেছে তাদের (কোর্ট) সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আবেদনকারীসহ সব আইনজীবীর আবেগ অনুভূতির সঙ্গে আদালতও একমত। কিন্তু আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে কোনো ধরনের আইন প্রণয়ন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা হাই কোর্ট বিভাগের নেই। তবে আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, রাষ্ট্র চাইলে আইন বিভাগ যদি মনে করে সংবিধান সংশোধন করে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে আইনগত সঠিক রূপরেখা ও কার্যকারিতা দেওয়া সম্ভব। সিনিয়র আইনজীবী সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলা আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান নয়, এটা সমগ্র জাতির স্লোগান। এই স্লোগান আমাদের নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে।