শিরোনাম
রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জেলায় জেলায় লকডাউন, মানছেন না অনেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলায় জেলায় লকডাউন, মানছেন না অনেকেই

রাজধানীর গোপীবাগ বাজারে গতকাল মানুষের ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুরুতে সপ্তাহে পাঁচজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী না মিললেও এখন প্রতিদিনই নতুন করে শনাক্ত হচ্ছে অর্ধশতাধিক। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। এ পরিস্থিতিতে বাড়ানো হয়েছে সাধারণ ছুটি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে ঘরে থাকতে কঠোর আদেশ জারি করেছে সরকার। গতকালও রাজধানীসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর তৎপরতা দেখা গেছে। কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ না মানায় ঝুঁকিপূর্ণ অনেক এলাকা পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোথাও সর্দি, কাশি, জ্বরে মৃত্যুর খবর মিললেই লকডাউন করা হচ্ছে সে বাড়ি বা এলাকা। তার পরও অনেকেই মানছেন না ঘরে থাকার নির্দেশ। মানছেন না লকডাউনও। শহর বা মফস্বলের মূল সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও অলিগলিতে দেখা যাচ্ছে মানুষের জটলা। নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে সামান্য প্রয়োজনেই প্রতিদিন ঘর থেকে বের হচ্ছেন অনেকে। ফলে বিদেশ থেকে আসা মরণব্যাধিটির লাগাম টানা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। এদিকে গত কয়েক দিনে সারা দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলায় জেলায় লকডাউনের আওতাও বাড়ানো হয়েছে। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। বারবার নির্দেশ দিয়েও মানুষকে ঘরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে গতকাল পুরো সিলেটকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এখন থেকে সিলেট জেলা থেকে কেউ বাইরে ও বাইরে থেকে কেউ সিলেট জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এর আগে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাইবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি জেলা আংশিক ও পুরো লকডাউন করা হয়। এ ছাড়া সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর সবাইকে স্ব স্ব স্থানে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু লকডাউন ও সরকারের নির্দেশ অমান্য করে অনেকেই ফিরে গেছেন নিজ এলাকায়। অনেকেই ফিরেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে, ফিরছেন এখনো। যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকায় লুকিয়ে ফিরছেন পণ্যবাহী গাড়িতে। এতে সারা দেশে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার অধিকাংশই ছিলেন প্রবাসী এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ফিরে যাওয়া মানুষ। আক্রান্ত এলাকাগুলো লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে লকডাউনের পাশাপাশি মানুষকে ঘরে রাখতে মাইকিংসহ টহল জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অথচ অনেক এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দেখলেই লুকিয়ে পড়ছে মানুষ, দোকানের শাটার বন্ধ করে দিচ্ছে, আবার টহলদল চলে গেলেই ফের খুলছে দোকান, জমে উঠছে আড্ডা। শহর ও মফস্বলের মূল সড়কগুলো জনশূন্য হলেও অলিগলিগুলোয় কমছে না মানুষের জটলা। খোদ রাজধানীতেই অনেক এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এ পরিস্থিতিতে জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ফের আরেকটি সংশোধিত আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শাটডাউন চলাকালে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই সময়ে কোনোরকম জরুরি কাজেও কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এই সময়ে ঘরের দরজা, বাসার গেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চলবে। তবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি জরুরি পরিষেবা এবং কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, গণমাধ্যম, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস বন্ধ রাখার পাশাপাশি সারা দেশে যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর করোনা রোগী শনাক্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সরকার ছুটি বাড়াতে থাকে। সর্বশেষ চতুর্থ দফায় ছুটির মেয়াদ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সূত্র জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি হতে পারে। এ সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করতেই সরকার ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে ঘরে থাকার বিকল্প নেই। বাড়ির একজন আক্রান্ত হলেই ঝুঁকিতে পড়বে অন্য সদস্যরা। ঝুঁকিতে পড়বে এলাকার অন্য বাসিন্দারা। তার পরও অনেকে ঘরে থাকছেন না। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলেও তথ্য গোপন করে ঘোরাঘুরি করছেন। এতে তিনি শুধু নিজের নন, পরিবারের ও সমাজের অন্যদের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। অনেক এলাকায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে লকডাউন করে দিয়েছেন। আবার অনেক স্থানে লকডাউন মানছেন না অনেকেই।

জেলায় জেলায় লকডাউন চিত্র : করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে টাঙ্গাইলে ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে লকডাউন। লকডাউন কার্যকরে জেলায় ৫৪টি চেকপোস্টে পুলিশ সর্বক্ষণ নজরদারি করছে। অন্য জেলায় গণপরিবহন বা বাইরের কোনো ব্যক্তির শহরে প্রবেশ প্রতিহত করতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও সেনা সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই গতকালও টাঙ্গাইলের প্রধান কাঁচাবাজার পার্কবাজারে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অন্যদিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে তথ্য গোপন করে পালিয়ে থাকা করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বাড়িসহ ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের ১২০ পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ইতালিপ্রবাসী মৃত সেই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। ওই প্রবাসীকে চিকিৎসা দেওয়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে সোনাপুর ইউনিয়নকে। একজনের মৃত্যু ও এক দিনে সাতজন করোনা আক্রান্তের খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় জেলার বাইরে থেকে কেউ আসতে পারবেন না, জেলা থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। হবিগঞ্জ শহরের চারটি এলাকায় রোগী পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এলাকাগুলো হচ্ছে- ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতালসংলগ্ন রাস্তা থেকে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত, কোর্ট মসজিদ রোড থেকে বেবিস্ট্যান্ড পর্যন্ত, জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম-সংলগ্ন রাস্তা ও জালাল স্টেডিয়াম-সংলগ্ন রাস্তা ও এর আশপাশ এলাকাসমূহ। চাঁদপুর জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন চলছে। শহরে খোলেনি দোকানপাট। একান্ত প্রয়োজনে অল্প কিছু মানুষ বের হলেও আবার দ্রুত ঘরে চলে গেছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে লোক এসেছে- এ খবর ছড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি বাড়ি লকডাউন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নারায়ণপুরের আলী হোসেনের বাড়িতে তার শ্যালক আসার পর স্থানীয় যুবকরা খবর ছড়িয়ে দেয় সে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে। এর পরই স্থানীয় কাউন্সিলর পুলিশ নিয়ে এসে বাড়িটি লকডাউন করে দেন।

 

কুমিল্লায় এক কুস্তিগিরসহ আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন বুড়িচংয়ের জিয়াপুর গ্রামের আক্রান্ত দুই শিশুর ফুফু, দেবিদ্বারের নবীয়াবাদ গ্রামের এক ব্যবসায়ী ও তিতাস উপজেলার মৌটুপি গ্রামের এক কুস্তিগির। জিয়াপুর, বিরামকান্দিসহ কয়েকটি গ্রাম লকডাউন করেছে প্রশাসন। করোনাভাইরাস রোধে ও সতর্কতায় রাজবাড়ী জেলাকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে পাঁচ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এ লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

নাটোরের নলডাঙ্গায় পাবনাপাড়া ও মাস্টারপাড়ায় বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল সকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পাড়া দুটিতে প্রবেশের সব রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত শুক্রবার পাবনাপাড়ায় গাইবান্ধা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসা এক শিক্ষিকার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপর স্থানীয়রা এলাকা লকডাউন করেন। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বালিয়া কইচারপুর গ্রামে আবদুল কাদির নামে এক শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পজিটিভ হওয়ায় ওই গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে দুই দিনে মুক্তাগাছায় এক কনস্টেবল ও গফরগাঁওয়ে অন্য এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন। তিন উপজেলায় তিনজন করোনা পজিটিভ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুক্রবার বিকাল থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকাসহ অন্য কোনো জেলা থেকে কাউকে নগরীতে ঢুকতে দিচ্ছে না। ঝালকাঠিতে একই পরিবারের তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরা সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তারা তিনজনই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন ও ঢাকায় অঘোষিত লকডাউন চলায় সেখান থেকে কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই পালিয়ে ঝালকাঠির গ্রামের বাড়িতে আসছে মানুষ। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়া দহগ্রাম এলাকায় একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। প্রশাসন ওই এলাকার পাঁচটি গ্রাম ও তিনটি রাস্তা লকডাউন ঘোষণা করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি আসেন।

নারায়ণগঞ্জ আগে থেকেই লকডাউন অবস্থায় আছে। জেলার আড়াইহাজারে নতুন করে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে সদ্য ঢাকাফেরত ৬০ বছর বয়সী এক রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকা থেকে তাবলিগ জামাতে অংশ নিয়ে বরগুনায় আসেন। আক্রান্ত ব্যক্তি বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ খাকবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফনার্স ও সদরের লক্ষ্মীপুরের শ্রমিককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের দুজনেরই কভিড-১৯ পজিটিভ আসায় খালিয়াজুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি নেত্রকোনা সদরের মদনপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামটিকেও লকডাউন করা হয়। গ্রামে একজনের করোনা পজিটিভ আসায় ওই ব্যক্তির পরিবার ও গ্রামটিকে লকডাউন করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলায় তিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের তিনজনের মধ্যে দুজন হরিপুর উপজেলার ও একজন পীরগঞ্জের। তারা তিনজনই কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। তাদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ও উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর