শিরোনাম
রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বল্প পরিসরেও চলবে না আদালতের কার্যক্রম

ছুটি বাড়ল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, জামিন-স্থগিতাদেশের মেয়াদ খোলার পর দুই সপ্তাহ পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত সংকটময় সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। গতকাল আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পরে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। এদিকে পরে সরকার  ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আদালতের ছুটিও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া জামিন, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, স্থগিতাদেশ এর আদেশের মেয়াদ পূর্বের নোটিসের ধারাবাহিকতায় আদালত খোলার তারিখ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সই করা একটি নোটিসে এ বিষয়ে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তাররোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বর্ণিত বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে আদালত প্রাঙ্গণে বিচারক, আইনজীবী, আদালতের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও তদবিরকারকগণের উপস্থিতি আবশ্যক। করোনা ভাইরাস রোগের সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির সংকটময় সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সমীচীন হবে না।

নোটিসে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ৪ এপ্রিলে জারি করা নোটিসের ধারাবাহিকতায় পুনরায় উল্লেখ করা হচ্ছে যে, যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধঃস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/ স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশের আদেশ প্রদান করা হয়েছে সেসব মামলায় আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার তারিখ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

এদিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও মেট্রোপিলটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলার জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত আছেন বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর