শিরোনাম
রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

মাছের ঘের দখল নিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা সরবত আলী মোল্লা (৫৫) নিহত হয়েছেন। তিনি গদাইপুর গ্রামের মৃত সামছুর মোল্লার ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের ভাই জুলিসহ ১০ জনকে আটক করেছে। 

আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম জানান, খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর এলাকায় মনজু মোল্লা, নুর মোহাম্মদ মোল্লা, নুর আহমেদ মোল্লা, ইলিক মাস্টার, ময়নুল মোল্লা, ওয়াদুদ সানা, কালু সানা, রবিউল মোল্লাসহ কয়েকজন মিলে ২০০ বিঘার একটি মৎস্য ঘের প্রতিষ্ঠা করেন। এ নিয়ে একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে তাদের বিরোধ চলে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ডালিমের ভাই আহসান হাবিব টগরের নেতৃত্বে প্রায়ই ঘেরের মাছ লুটপাট করে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘেরের মাছ লুট করে পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গদাইপুর মৎস্য সেটে খোকন নামে তাদের এক লোক বিক্রি করতে যায়। এ সময় সরবত মোল্লার ছেলে সবুজের সঙ্গে ওই মাছ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডালিম চেয়ারম্যানের ভাই টগর সবুজকে গলা ধাক্কা দেয়। এ সময় মাছের কাটায় থাকা লোকজন এবং সবুজ টগরকে মারপিট করে। এ সময় উভয় পক্ষে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনার পর সকাল ৯টার দিকে ডালিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন সবুজ মোল্লার বাড়িসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুলের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় সবুজের বাবা সরবত আলী মোল্লার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম। এ ঘটনায় সরবত আলী ও তার স্ত্রী শেফালি বেগম, রব্বানী মোল্লা ও তার ভাতিজাসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়। এদের মধ্যে সরবত আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১টার দিকে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মধ্যরাতেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসের লোকজন চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়িতে হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়ির জানালা ও গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ডালিমের স্ত্রী রেহেনা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, তার বাড়ি ভাঙচুরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, দলিলসহ সব মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে সাবেক চেয়ারম্যান কুদ্দুসের লোকজন।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর