বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সন্তানের লাশ দেখে মায়ের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রামের বুড়ইল ইউনিয়নের পোঁতা গ্রামে ঘরের মধ্যে দুই বছরের শিশু সন্তানের মৃত্যুর পর মা লিপি রানী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল ভোররাতে এ ঘটনার পর লাশ দুটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।

এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বলা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যে শিশুটি চাপা পড়ে মারা যাওয়ার পর মা লিপি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে বলা হচ্ছে, নিজে শিশু সন্তানকে হত্যার পর সে আত্মহত্যা করে। জানা গেছে, নন্দীগ্রামের বিপুল বর্মণ দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি চাল কলে শ্রমিকের কাজ করেন। এ কারণে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। মাঝে মধ্যে স্ত্রী-সন্তানে খবর নিতে বাড়িতে আসেন। কিন্তু সস্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যানবাহন না থাকায় বিপুল বর্মণ নিয়মিত বাড়িতে আসতে পারেন না। বাড়িতে বিপুলের বাবা-মা এবং স্ত্রী-সন্তান বসবাস করেন। বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে বিপুলের স্ত্রী চিৎকার দিলে শ্বশুর-শাশুড়ি জেগে উঠে দেখতে পায় নাতি বাপ্পীর (২) মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে এবং পুত্রবধূ বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় লিপিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর লিপি মারা যায়। লিপির ভাই আনন্দ বর্মণ বলেন, পাঁচ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পছন্দ করত না। কারণে অকারণে তার বোনকে মানসিক নির্যাতন করত। আর এ কারণেই হয়তো সন্তানকে হত্যা করে তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর জানান, ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেশীরাও তেমন কিছু বলতে পারছেন না।

 মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তে শিশুটির শরীরে কোনো দাগ দেখা যায়নি। ঘুমের মধ্যে কোনো ঘটনায় মারা যেতে পারে। তারপরও পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

সর্বশেষ খবর