আগামী সেপ্টেম্বরেই আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহেই ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে মানবদেহে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। সূত্র : বিবিসি। এ প্রয়োগে প্রথমে বেছে নেওয়া হবে ৫৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী সুস্থ মানুষ। এরপর প্রয়োগ হবে ৭০ ঊর্ধ্বদের শরীরে। প্রথম ধাপে পরীক্ষার আওতায় আনা হবে ৫০০ ব্যক্তিকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলে আরও মানুষকে ট্রায়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জেনার ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ সরকার ও ব্রিটেনের কয়েকটি দাতব্য সংস্থার অর্থায়নে ২০০৫ সালে গড়ে তোলা হয় এ ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ড. সারাহ গিলবার্টের নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের একদল বিজ্ঞানী গত জানুয়ারি মাস থেকেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেন। মার্চ মাসে ব্রিটিশ সরকারের একটি সংস্থা ২২ কোটি টাকার অনুদান দেয় এই গবেষণায়। সারাহ ও তার দল অন্য সংক্রমণজনিত রোগের ভ্যাকসিন তৈরির পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা করোনার পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন- এখন এমন মানুষকে বাছাই করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি শর্তে এ বাছাই চলছে। যেমন করোনায় আক্রান্ত বা সেরে ওঠা মানুষকে পরীক্ষার আওতায় আনা যাবে না। জ্বর থাকলে অংশ নেওয়া যাবে না। সূত্র জানায়, একদলকে দেওয়া হবে পরীক্ষামূলক করোনার ভ্যাকসিন, আর অন্যদলকে মেনিনজাইটিসের প্রচলিত ভ্যাকসিন। ডাক্তার বা রোগী জানবেন না কে কোন রোগের ভ্যাকসিন পেলেন। প্রকল্পের প্রধান ড. সারাহ গিলবার্ট মনে করেন, এই ভ্যাকসিন কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।