রোজা মানেই সৌদি আরবে ভিন্ন কিছু। সাহরি আর ইফতারকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন। মসজিদগুলোতে তারাবি নামাজের জন্য বিশেষ    প্রস্তুতি। বড় বড় প্রতিষ্ঠান আর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে জায়গায় জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে রোজাদারদের ইফতারের আয়োজন। তাছাড়া মক্কা এবং মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজন। সারারাত কর্মযজ্ঞ আর ফজরের নামাজ পড়ে জোহর পর্যন্ত ঘুম। রাস্তাঘাট আর বিপণিবিতানগুলোতে বর্ণিল আলোকসজ্জা। শপিং মলগুলোতে ডিসকাউন্টের ছড়াছড়ি।

ইতিহাস আর ঐতিহ্য ধরে রেখে রোজা পালনের সব পরিকল্পনা আর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে মহামারী করোনাভাইরাস। রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদে নামাজ আদায়। গণজমায়েত এড়িয়ে বাসায় ইফতার আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মক্কায় মসজিদুল হারাম আর মদিনায় মসজিদে নববীতে ইফতারের যে আয়োজন রাষ্ট্র করে থাকে সেটি এবার বিতরণ করা হবে দুই শহরের বাসিন্দাদের মাঝে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হতে পারে পবিত্র রমজান মাস। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত।

সাইফুল নামে অপর এক বাংলাদেশি বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে সবচেয়ে বেশি মানুষ উমরাহ পালন করে থাকেন। কিন্তু এবার করোনার বিস্তাররোধ করতে উমরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের আয় রোজগারও বন্ধ।