অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এ দুর্যোগে চীন নেতৃত্বাধীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিশ্রুতি সহায়তাটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও অনেক বেশি সহায়তা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য এআইআইবির পক্ষ থেকে আরও সহায়তা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল এআইআইবির প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা বিষয়ক টেলিকনফারেন্সে আলাপচারিতার শুরুতে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। টেলিকনফারেন্সে আরও যুক্ত হন এআইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ডি জে পানডিয়ান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ সারা বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। প্রতিদিন মৃত্যুর খবর আসছে সারা দুনিয়া থেকে। থমকে যাওয়া বিশ্বে কর্মহীন মানুষের হাহাকার কেবলই বাড়ছে। গোটা বিশ্ব আজ প্রকট অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। নভেল করোনাভাইরাসে অর্থনীতিতে উদ্ভূত নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকি ও প্রভাবগুলো হ্রাসের সহায়তায় সদস্য দেশগুলোর জন্য এআইআইবি থেকে ১ হাজার কোটি ডলারের তহবিল গঠন করায় প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এআইআইবির প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্বে সদস্য দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি ধারাবাহিক ক্রমবর্ধমান সহায়তা এবং স্বাস্থ্য খাতের জরুরি সেবা ও বাজেট সাপোর্টের জন্য এআইআইবি বাংলাদেশের জন্য যে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, সে জন্যও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী।
এআইআইবি প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি নিঃসন্দেহে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিনই পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। যদি মহামারী মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনীতি নিয়েও এখন থেকেই না ভাবা হয়, তাহলে ২০২১ সালেও অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হবে না। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে এআইআইবির প্রায় ১.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তায় সাতটি প্রকল্প চলমান, যার মধ্যে ২০২০ সালে অনুমোদিত হয়েছে তিনটি।