রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বগুড়ায় নেই সাদা দইসহ বাহারি ইফতার

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বহুযুগ ধরে বগুড়ায় ইফতারে অপরিহার্য হয়ে ওঠা সাদা দইসহ ইফতারের বাহার নেই। লকডাউনের সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রভাবে সাদা দইয়ের সঙ্গে বাহারি নামের আর পদের ইফতারসামগ্রীও দেখা যায়নি। শনিবার বগুড়া জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছিল একেবারে ফাঁকা। আর সেই সঙ্গে বিগত দিনে প্রথম রমজানে রোজাদারদের ইফতারসামগ্রী কেনার যে হিড়িক ছিল তা এবার দেখা যায়নি। ইফতারসামগ্রীও ছিল না। তারাবির নামাজও ছিল ১২ জনের। জানা যায়, বগুড়ায় মাহে রমজানে বহুযুগ ধরেই ইফতারে সাদা দই ছিল প্রচলিত খাবার। সাদা দই শরীরকে ঠা া ও হজমে কাজ করে বলে বগুড়াসহ আশপাশের জেলায় সাদা দই ইফতারসামগ্রীতে ছিল অপরিহার্য। এর সঙ্গে মুড়ি, বুন্দিয়া, ছোলা, পিয়াজু, ঝুড়ি, চানাচুর, খেজুর, হালিম, জিলাপি, মিষ্টি, কলা, মাল্টা, কমলা, আপেল, ডাব, মুরগির গ্রিল, খাসি ও গরুর মাংসের তৈরি বিভিন্ন কাবাব, বেল, মিশ্রিত শরবত বগুড়ার ইফতারসামগ্রীতে ছিল অপরিহার্য। এবার করোনাভাইরাসের প্রভাবে এসব আর নেই। জেলার প্রধান ইফতার বাজার ও বিক্রেতারা ইফতারসামগ্রী নিয়ে বসেনি। দু-একজন বসার চেষ্টা করলেও প্রশাসন থেকে বিধিনিষেধ থাকায় বসতে পারেনি। বেশিরভাগ পরিবার ঘরে তৈরি ইফতারসামগ্রী দিয়ে ইফতার সেরেছেন।

তবে বগুড়া শহরে শনিবার মুড়ি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, খেজুর সাধারণ মানের ১২০ টাকা আর কিছুটা ভালোমানের বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে। কলা বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা হালির। লেবু ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি, বেল প্রতি পিস ৪০ টাকা। বগুড়া শহরের মালতিনগরের বাসিন্দা রবিউল আলম জানান, গত বছর প্রথম রমজানে ইফতারসামগ্রী ছিল প্রচুর। বিভিন্ন নামের আর স্বাদের ইফতারসামগ্রীতে বাজার ভরা ছিল। রোজাদাররা তাদের পছন্দমতো ইফতারসামগ্রী ক্রয় করেছেন। এবার করোনাভাইরাসের কারণে ইফতারসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। খেজুর বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।

বগুড়া শহরের বউবাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুল আজিজ জানান, বিগত দিনে দিনভর রোজা পালন শেষে সাদা দই দিয়ে ঠা া শরবত ও ঘোল পান করে তৃষ্ণা মিটিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে ঘরেই আছেন রোজাদাররা। যে কারণে শহরের কোথাও ইফতারসামগ্রী বিক্রি করতে দেখা যায়নি। বগুড়া শহরের দই ও ইফতারসামগ্রীর ব্যবসায়ীরা জানান, ইফতারসামগ্রী ও দই বিক্রি হতো প্রচুর। সাধারণ মানুষ ইফতার কিনে নিয়েছে নিজেদের মতো করে। কিন্তু এ বছর ইফতারসামগ্রী বিক্রি হয়নি।

সর্বশেষ খবর