রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

শ্রমিকরা দুর্ভোগ নিয়েই ফিরছেন

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

শিল্পনগর গাজীপুরে হাজারো প্রতিষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থানের কয়েক লাখ শ্রমিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। করোনাভাইরাসের শুরুতে এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় বেশির ভাগ শ্রমিকই বাড়ি চলে যান। তবে এখন আবারও কারখানা খোলার খবরে তারা সেই দুর্ভোগ নিয়ে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মস্থলে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশা ও ভ্যানে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা।

আশরাফ উদ্দিন রমজানের প্রথম সাহরি খেয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার উদ্দেশে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থেকে রওনা দিয়েছেন। রিকশা-ভ্যানযোগে বিকল্প মাধ্যমে ভেঙে ভেঙে বেলা ২টার দিকে শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় পৌঁছেন। তিনি জানান, গাজীপুর থেকে তার বাড়ির দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। এমনিতেই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়ায় তিনি যাতায়াত করতেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ২০০ টাকা ভাড়ায় খোলা ট্রাকে করে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। শুক্রবার কারখানার সুপারভাইজারকে ফোন দিলে তিনি কারখানায় আসতে বলেন। অন্য শ্রমিক রাশেদুল এসেছেন জামালপুর থেকে। তিনি জানান, জামালপুর থেকে জয়দেবপুর আসতে ৩০০ টাকার মতো গাড়ি ভাড়া দরকার হয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জৈনাবাজার আসতেই তার ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। বাকি রাস্তা যেতে আরও ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ হবে। টঙ্গী এরশাদনগরের উদ্দেশে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে সকাল ৮টায় রওনা হয়েছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি এরশাদনগরের একটি কারখানায় কাজ করেন। শুক্রবার বিকালে সুপারভাইজার মোবাইল ফোনে কারখানায় আসতে বলেছেন। তিনি বাড়ি থেকে রওনা দেওয়ার পর শুনেছেন কারখানা বন্ধ থাকবে। এখন তিনিসহ অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন।.

মাওনার নোমান গ্রুপের একটি কারখানার সুপারভাইজার আমিনুল হক বলেন, কর্তৃপক্ষ কারখানা খোলার বিষয়ে গতকাল তাদের জানিয়েছিল। তিনি সকালে টঙ্গী থেকে মাওনায় এলে বাড়ির মালিকরা বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না তাকে। এদিকে লকডাউনের মধ্যেই শ্রমিকরা কাজে ফেরায় স্থানীয় বাড়ির মালিক অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিকরা এলাকায় প্রবেশ করায় নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হতে পারে। অনেক বাড়ির মালিক শ্রমিকদের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেবেন না। হঠাৎ করে শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে চলে আসায় ভোগান্তি বাড়বে।

সর্বশেষ খবর