রবিবার, ৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

টর্নেডোতে মুহূর্তেই ১০ গ্রাম তছনছ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

টর্নেডোতে মুহূর্তেই ১০ গ্রাম তছনছ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার ওপর দিয়ে গতকাল সকালে বয়ে যাওয়া ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ১০টি গ্রাম তছনছ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত গাছপালা। তবে বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদিকে ঝড়ের সময় মো. সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বুড়ীশ্বর থেকে নাসিরনগর যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে মারা যান। সোহেল মিয়া বুড়ীশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার হাবিবা বেগমের দেবর। এ ছাড়া ঝড়ের সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে হওয়া ঝড় নাসিরনগর উপজেলা সদরের ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, বুড়ীশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল, বেনিপাড়া, ইছাপুরা, শ্রীঘর গ্রামে আঘাত হানে। এ ছাড়া সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা, কুচনিসহ বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।

সরাইলের বুড্ডা গ্রামের মো. দুলাল মিয়া জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে একটি ঘূর্ণির মতো কিছু আকাশে দেখা যায়। মুহূর্তেই এটি তাদের এলাকায় আঘাত হানে। এতে বুড্ডা গ্রামের অন্তত ১০-১৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

কুচনি গ্রামের গেজন মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, সকালে হওয়া ঝড়ে তাদের পাঁচ ভাইয়ের টিনের ঘর ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া তাদের বাড়ির আশপাশের অনেক কাঁচাঘরও ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার অনেক গাছপালা।

নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম জানান, তার ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঝড়টি আঘাত হানে। ওই দুই ওয়ার্ডে প্রায় ৫০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে।

বুড়ীশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার হাবিবা বেগম জানান, তার দেবর সোহেল মিয়া বাড়ি থেকে নাসিরনগর যাচ্ছিলেন। পথে ঝড়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মেম্বার নিহারা বেগম জানান, তার এলাকায় অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতির মাত্রা দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি এলাকাতেই যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ১০০টির মতো বাড়িঘর ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কাজ চলছে। সোহেল মিয়া নামে ওই ব্যক্তি ঝড়ের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

সর্বশেষ খবর