রবিবার, ৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় মৃত ১৪ ব্যাংকার, আক্রান্ত দুই শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংকগুলোতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন দুই শতাধিক ব্যাংক কর্মী। মারা গেছেন ১৪ জন ব্যাংকার। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কর্মীরা। প্রাণঘাতী ভাইরাসে ব্যাংকটিতে এ পর্যন্ত ১০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে তিনজনের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে কভিড-১৯ এ আক্রান্তের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও অনেক ব্যাংক যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। মানছে না নিয়মকানুন। সামাজিক দূরত্ব বজায়ের বালাই নেই। গাদাগাদি করে অফিস করা, লিফটে ওঠা, অধিক লোক সমাগমের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন ব্যাংকাররা। তাই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। একই সঙ্গে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অধিক কর্মী সমাগম ঠেকাতে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব বণ্টন বা  রোস্টারিং চালু দাবি করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ব্যাংকার আক্রান্তের সংখ্যা দুই শতাধিক। মারা গেছেন ১৪ জন ব্যাংকার। মৃতদের মধ্যে  সোনালী ব্যাংকের তিনজন, রূপালী ব্যাংকের দুজন, দি সিটি ব্যাংকের দুজন, এনসিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার একজন, উত্তরা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার একজন, জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসের প্রশাসন শাখার একজন, ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন, অগ্রণী ব্যাংকের একজন ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার একজন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক।

ব্যাংকগুলোতেওখাঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারীরিক দূরত্ব মানার জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আসন বিন্যাসে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ব্যাংকগুলোতে রোস্টার পদ্ধতি করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা  কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে কর্মীদের সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে রোস্টারিং ডিউটির ব্যবস্থার দাবি জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার বিস্তার রোধে এরইমধ্যে  বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব বণ্টনসহ বাসায় বসে কর্মকর্তাদের কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাও রোস্টারিং সুবিধা চালুর দাবি করছেন।

সর্বশেষ খবর