রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
অমানবিক

নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে নির্যাতন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে নির্যাতন

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়তে ব্যর্থ হয়ে মনের খেদ মেটাতে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে গৃহবধূর ছেলেসহ দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্য ও তার ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৫ জুন ওই ইউপি সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ বলছে, তারা পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার দেওধা গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হন ওই এলাকার মোতালেব আলী নামে এক ব্যক্তি। এতে মোতালেবের মনে ক্ষোভ জমে। মনের খেদ মেটাতে গৃহবধূর শিশুসন্তান সুমন ও ভাতিজা কমিরুলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে ২২ মে সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে এক সালিস বৈঠক বসানো হয়। সেখানে ওই দুই শিশুকে কুঁজো করে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে তাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। একই সঙ্গে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। মোবাইলে ধারণ করা নির্যাতনের সেই ভিডিও দেখিয়ে ওই গৃহবধূর কাছে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে মারধর করে তার বাড়ি থেকে একটি গরু তুলে নিয়ে যান নির্যাতনকারীরা। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ টালবাহানা করে। অনেক দেনদরবারের পর ৫ জুন পুলিশ মামলা নিলেও অজ্ঞাত কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর। ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল তৎপর বলেও অভিযোগ তার। এ বিষয়ে সেনগাঁওয়ের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান জানান, এভাবে শিশুদের নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, মামলা নিতে টালবাহানা করা হয়নি। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর