শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মানসম্মত সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করা দরকার

-অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান

মানসম্মত সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করা দরকার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, করোনার চিকিৎসা সেবায় সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। এখনো আছে। চিকিৎসকরা সেবা দেবেন না- এ কথা কখনোই বলেননি। তারা চেয়েছেন নিজের ও রোগীর নিরাপত্তা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেছে। আমাদেরও দাবি সেটাই। চিকিৎসকরাই যদি বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হন, তাহলে চিকিৎসাব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণেই কোথায় কোথায় সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানহীন চিকিৎসা সুরক্ষাসামগ্রী বাদ দিয়ে মানসম্মত সুরক্ষাসামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ প্যাথলজি বিভাগের সাবেক এই প্রধান। তিনি বলেন, আজ চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের সমস্যা কোথায় জরুরি ভিত্তিতে তার সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে করোনার পিক আওয়ার এখনো আসেনি। এখনো ঊর্ধ্বগতির দিকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে মনে হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা ঊর্ধ্বগতির দিকেই যাবে। এরপর হয়তো নিম্নগামী হবে। আমার মনে হচ্ছে, করোনা চিকিৎসা নিয়ে নানা সমন্বয়হীনতা রয়েছে, দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। এটা কাটাতে হবে। সামনে ঈদুল আজহা। সেখানে পশু জবাইয়ের একটা বিষয় রয়েছে। রাজধানীতেও পশুর হাট বসবে বলা হচ্ছে। সারা দেশেও হাট বসবে। শুধু গরু-ছাগল কেনাই নয়, জবাইয়ের জন্য লোকবল লাগবে। সেখানেও করোনা নানাভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে। এসব নিয়েও সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। তিনি বলেন, ৪০ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে হাসপাতালে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীই বেশি। অনেক সাধারণ রোগীও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনা গোপন রাখেন। তা করা যাবে না। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চিকিৎসকদেরও টানা সাত দিন উিউটি করে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। নইলে তার পরিবার-পরিজনও আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাদের খাবার-দাবারসহ সামগ্রিক বিষয় যেন পৃথকভাবে হয় সে ব্যাপারেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর