রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
ফটোসাংবাদিকের ওপর হামলা

তিন আনসার সদস্য বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধরের ছবি তুলতে গিয়ে দুই ফটোসাংবাদিক হামলার শিকারের ঘটনায় আনসারের তিন সদস্য বরখাস্ত হয়েছেন। তারা হলেন আফসারুল আমীন, বিশ্বজিৎ কুমার ও খোরশেদ আলম। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে তাদের বরখাস্ত করা হয়। তবে পর্যায়ক্রমে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুক্তিভিত্তিক আনসারের পুরো টিমকেই প্রত্যাহার করা হবে বলে বাহিনীর সূত্র নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার সকালে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনের মারধরের ছবি তুলতে গেলে দুই ফটোসাংবাদিকের ওপর হামলা করে অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা। তাদের আক্রমণে এক ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরার প্রটেক্টর ভেঙে গেছে। এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে গতকাল সন্ধ্যায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র মেহেনাজ তাবাস্্সুম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মহাপরিচালক স্যারের নির্দেশে মুগদা হাসপাতালের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকেই প্রত্যাহার এবং বরখাস্ত করা হয়। এরা আর কখনো এই বাহিনীতে চাকরি পাবে না। একই সঙ্গে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। জানা গেছে, হাসপাতালে দায়িত্বরত পুরো টিমই এমবোডেড (চুক্তিভিত্তিক) আনসার সদস্য। তাদের মাত্র ৭০ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং আইডি কার্ড দেওয়া হয়। মুগদা হাসপাতালে ওই ঘটনার পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখেই মুগদা হাসপাতালে দায়িত্বরত তিনজন আনসার সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। উল্লেখ্য, হাসপাতালে কভিড-১৯ টেস্টের জন্য প্রতিদিন ৪০ জনকে টিকিট  দেওয়া হয়। ওই দিন ৩৪ জনের পরীক্ষা করেই আনসার সদস্যরা বলেন, আজ পরীক্ষা শেষ। তখন ৩৬ নম্বর সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শাওন হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে আনসার সদস্যদের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আনসাররা তার গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনার ছবি তুলতে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটোসাংবাদিক জয়ীতা রায় ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের ফটোসাংবাদিক রুবেল রশীদ। তখনই তাদের ওপর হামলা করে আনসার সদস্যরা। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতেও মুগদা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর