রংপুরের সুস্বাদু হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি জমে উঠেছে। পয়লা জুলাই থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো শুরু হয়েছে। এই আম এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও রপ্তানি কারকদের অনীহার কারণে বিদেশে বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা এই আম রপ্তানি করতে পারছেন না। মিঠাপুকুরের আমচাষি শাহিনুল ইসলাম বকুল বলেন, কিছুটা প্রকৃতিক দুর্যোগের পরেও এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। দামও মোটামুটি ভালো। তবে এই আম দেশে সুখ্যাতি অর্জন করলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং রপ্তানিকারকদের আগ্রহ না থাকায় বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। রংপুর জেলার পদাগঞ্জ ও বদরগঞ্জের স্টেশন বাজার এ অঞ্চলের হাঁড়িভাঙা আমের বড় পাইকারি হাট। এই হাট থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা ট্রাক ভরে নিয়ে যাচ্ছেন হাঁড়িভাঙা আম। রংপুরের ফলের আড়ত ছাড়াও টার্মিনালের পশ্চিম কোণে পদাগঞ্জের আম ফড়িয়াদের নিজস্ব উদ্যোগে বসেছে হাঁড়িভাঙার মিনি হাট, সেখান থেকেও পাইকাররা আম নিয়ে যাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, রংপুরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৯ মেট্রিক টন। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, এই আম বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের আগ্রহ কম। এ ছাড়া অন্যান্য আম দীর্ঘদিন ঘরে রাখা গেলেও হাঁড়িভাঙা ১০ দিনের বেশি রাখা যায় না। এজন্য এই আমের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা গড়ে ওঠেনি।