রাজশাহীতে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৭ মাস ধরে একজন নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৭) এ অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করেছে। ওই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান আছে। তবে ওই নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায়  তিনি ভাড়া থাকেন। অন্যদিকে বান্ধবীর সঙ্গে নগরীর কোর্ট এলাকায় ভাড়া থাকেন ওই নারী । তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন। ওই নারীর দাবি, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। এরপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন ডা. রানা।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক দাবি করছেন, জোর করে নয়, প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা-ই হোক না কেন, এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হবে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতে পাঠানো হবে।