মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

নদীভাঙনে আতঙ্ক বাড়ছেই

নির্ঘুম রাত-দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার

প্রতিদিন ডেস্ক

নদীভাঙনে আতঙ্ক বাড়ছেই

বন্যাজনিত কারণে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফলে ভাঙনকবলিত এলাকায় মানুষের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

শরীয়তপুর : পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে তীর রক্ষা বাঁধের তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার। অনেকে আবার বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়ে রাস্তায় বা নৌকায় দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙন নিয়ন্ত্রণে  জিওব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই থেকে পদ্মা, মেঘনা, কীর্তিনাশা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়। এই পর্যন্ত জাজিরা অংশের পদ্মা সেতু সংলগ্ন নাওডোবা অংশে, চরআত্রা ও সুরেশ্বর এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। তাই ১৩টি প্যাকেজের মাধ্যমে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং চলছে। সিরাজগঞ্জ : দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা। চতুর্থ দফা পানি বাড়ায় এখনো শত শত পরিবার ঘরে ফিরতে পারেনি। অনেকে আবার নতুন করে বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। আয়-রোজগার না থাকায় বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি মেরামত নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে বন্যাকবলিতরা। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, বন্যা আমাদের সর্বনাশের মূল। বন্যার কারণেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন না। চরমালসাপাড়া এলাকার রোজিয়া খাতুন জানান, বাড়িতে নেমে যাওয়ার পর আবার পানি এসেছে। উঠানের বাইরে স্যাঁতস্যাঁতে কাদা। শেরপুর : সাম্প্রতিক বন্যায় শেরপুর জেলায় কৃষিতে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার উৎপাদিত ফসল ও মৎস্য চাষিদের ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা মূল্যের মাছ ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লিখিতভাবে সরকারকে জানানো হয়েছে বলে জেলার কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে। দুই বিভাগের নির্ধারিত ক্ষতির পরিমাণের চেয়ে বাস্তব ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের দাবি, সরকার দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দাঁড়াক।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর