ঠাকুরগাঁওয়ে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই কিশোরীকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে উপজেলার সেনুয়া ও পীরগঞ্জ থেকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পীরগঞ্জ থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ধর্ষিত কিশোরীর বাবা মো. আবু সুলতান। আটককৃতরা হলেন- পীরগঞ্জের সেনুয়া বানিয়া পাড়ার মো. আলতাফুর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম (২২), ভোমরাদহ চিলাছাপা এলাকার মো. ওসমান আলীর ছেলে মো. সবুজ (২০)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হিরেন চন্দ্র শীল (২৬), ফরিদ হোসেন (২২) ও সেলিম (২২)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহে সুতা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করার সুবাদে ভোলাপাড়া, রাণীশংকৈলের বাসিন্দা কনক (১৭)’র (ছন্দনাম) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নয়নের পরিচয় হয়। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে নয়ন কনককে ভালো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় তাদের বাসায় যাতায়াত করে ও মোবাইলে যোগাযোগ রাখে। ঘটনার দিন গত সোমবার নয়ন মুঠোফোনে কনককে পীরগঞ্জে আসতে বলে। নয়নের ফোন পেয়ে কনক তার প্রতিবেশী এক মেয়ে কণাকে (১৪) (ছদ্মনাম) সঙ্গে নিয়ে পীরগঞ্জে আসলে চৌরাস্তায় নয়ন ও তার চার-বন্ধু সবুজ, হিরেন চন্দ্র শীল, ফরিদ হোসেন ও সেলিম তাদের সঙ্গে মিলিত হয়। নয়ন তাদের ইজিবাইকে করে নিজের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে জুস ও চিপস খেতে দেয়। এসব খাওয়ার পর কনক ও কণার মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব হলে তাদের সবুজের বাসায় নিয়ে একদফা ধর্ষণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাদের ভোমরাদহ এলাকার একটি আখ খেতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে নয়ন ও তার বন্ধুরা। ভোর রাতে ভোমরাদহ স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে তাদের ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে মুমুর্ষু অবস্থায় কনক ও কণা কোনোরকম একটি ইজিবাইক ভাড়া করে নিজ বাসায় ফিরে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে কনকের বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। দুই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার আইও খায়রুল আনাম ডন জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতেই ২ আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
