সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক আনুগত্য ভীতি কাটেনি চিকিৎসকদের

-ড. অনুপম সেন

রাজনৈতিক আনুগত্য ভীতি কাটেনি চিকিৎসকদের

একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম শহরের জ্যেষ্ঠ নাগরিক অধ্যাপক ড. অনুপম সেন বলেছেন, করোনাকালে চিকিৎসকদের ভীতি কাটাতে রাজনৈতিক প্রভাব ও আদর্শিক তাগিদ কাজে লাগেনি। অনেক সুস্থ সবল চিকিৎসক করোনাকালের শুরু থেকেই নিজ চেম্বারেও বসেননি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক আনুগত্য কোনো প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হয় না। তাদের এই ভীতিতে আমি মর্মাহত, উদ্বিগ্ন, বিচলিত ও বিস্মিত হয়েছি। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, ‘যেখানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ সেখানে চিকিৎসকদের এত ভয়ের কোনো কারণ নেই। করোনা আসার পর শুরু থেকেই কিছু অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। যেমন অসুস্থ মাকে ফেলে রেখে সন্তানের চলে যাওয়া, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতেও ভয়ে জানাজা বা সৎকারে না যাওয়া। সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন ভীতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা যেরকম ভয়ের প্রকাশ ঘটিয়েছেন তা অনাকাক্সিক্ষত। রাজনৈতিক দলের অনুসারী চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার জায়গায় সচেতন ভূমিকা মানুষ আশা করতেই পারেন।’ ড. অনুপম সেন আরও বলেন, করোনা সময়ে অনেক মানুষের স্বরূপ উদ্ভাসিত হয়েছে। চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদদের করোনাকালীন ভূমিকাকে ‘আন্তরিক’ উল্লেখ করে ড. সেন বলেন, যার যা সাধ্য তা নিয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। করোনায় অর্থনীতির ধসে বাংলাদেশের সমাজজীবন ও রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়ছে তা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে উল্লেখ করে ড. অনুপম সেন বলেন, সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণ সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদরা যেন তারই দেশরক্ষার রাজনীতির আহ্বান শুনেছেন। তাকেই অনুসরণ করেছেন। ড. অনুপম সেন শতবর্ষ আগে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’তে সেসময়কার ২০০ কোটি মানুষের মধ্যে ৫ কোটির মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন ৭৫০ কোটি মানুষ বিশ্বে। এ পর্যন্ত মৃত্যু ৮ লাখ ছুঁইছুঁই। সে হিসেবে করোনাভাইরাসের মরণ আঘাত কম। আগে মানুষ এত সচেতন ছিলেন না। এখন মৃত্যুহার কমাতে সচেতনতা, সুরক্ষাসহ নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর