বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তা-ব চলছেই। বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে একযোগে এ তা-ব চালাচ্ছে ভাইরাসটি। এতে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আরও ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস। এ নিয়ে বিশ্বে মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৮ লাখ ৯ হাজার। এ ছাড়া এক দিনে আড়াই লাখ মানুষের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৩৪ লাখের বেশি। এদিকে দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে এখনো শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সাড়ে ৯০০ মানুষের প্রাণ গেছে এক দিনে। কিছুটা কমে ৪৩ হাজারের মতো সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে গতকাল। ভারতে আরও ৯১৮ জনের মৃত্য্যুর পর মোট প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৮৪৬ জনে। ব্রাজিলে এক দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮২৩। তবে প্রাণহানি কমেছে মেক্সিকোয়। দেশটিতে এক দিনে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
এদিকে, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬৯ হাজার ২৩৯ জন। ফলে এখন পর্যন্ত ভারতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪০ বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৬ হাজার ৭০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছেন ৯১২ জন। অন্যদিকে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৬ জন। অর্থাৎ করোনা থেকে সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। এ তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী ভারতে বর্তমানে করোনার অ্যাকটিভ কেস ৭ লাখ ৭ হাজার ৬৬৮। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রদেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের বেশি। মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৬৯৮ জনের। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৩ জন। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৯। সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩০। মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৪০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৭ হাজার ৬৭৭ জন। তামিলনাড়ুতে করোনার অ্যাকটিভ কেস ৫৩ হাজার ৪১৩। তৃতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫ জন এবং অ্যাকটিভ কেস ৮৭ হাজার ৮০৩। কর্ণাটকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৬। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫২২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪২ জন এবং অ্যাকটিভ কেস ৮৩ হাজার ৮২। অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬০৪। মারা গেছেন ৪ হাজার ২৭০ জন আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৯০৮ জন।
