যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, করোনার এই কঠিন সময়ে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা দুরূহ হয়ে উঠেছে। সপরিবারে আক্রান্ত হয়ে তিনিও এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনেকে সুস্থ হয়েছেন, অনেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারপরও দলের নেতা-কর্মীরা থেমে নেই। তারা প্রথম থেকেই জনগণের পাশে থেকে সবরকম সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। যথেষ্ট ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ দিতে গেলেও সমস্যা হচ্ছে, সেখানে ভিড় বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ের মতো এখন তো রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে পালন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কর্মসূচি করতে গিয়ে দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তারপরও আমরা শোকের মাসের কর্মসূচিগুলো ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে পালন করার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা, মানবভোজ, এতিমভোজের মতো কর্মসূচি করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এর আগে যশোর-৬ আসনে (কেশবপুর উপজেলা) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেটিও আমরা যতটুকু সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সফলভাবেই করেছি। ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক প্রভৃতি বিতরণ করা হয়। নির্বাচনের ফলেও আমাদের কর্মকান্ডের প্রভাব লক্ষ্য করেছি।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যত ঝুঁকিই থাকুক না কেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনাই দেবেন, তা আমরা আগেও যেমন পালন করেছি, এখনো করছি, ভবিষ্যতেও করব।