যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম বলেন, করোনার কারণে কেন্দ্র থেকেই সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত আছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিগুলো পুনর্গঠন করা দরকার ছিল, তা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবরকম দেখভাল, সাহায্য-সহযোগিতা দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সরাসরি তত্ত্বাবধানে করোনার শুরু থেকেই যশোর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো মানুষের পাশে রয়েছে। অসুস্থদের বাড়িতে ফলমূলসহ খাবার পাঠানো হচ্ছে। যশোরে আমরাই প্রথম করোনাযোদ্ধাদের সুরক্ষা উপকরণ দেওয়া শুরু করেছি। চিকিৎসক, নার্সদের পাশাপাশি কবরস্থানে যারা মরদেহ দাফনের কাজ করেন, তাদেরও আমরা পিপিই, মাস্ক দিয়েছি। এই কঠিন সময়ে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষকে খবর পৌঁছে দিচ্ছেন। তাদেরও আমরা পিপিই দিয়েছি। নার্গিস বেগম বলেন, ‘এই দুঃসময়ে আমরা সবার কথাই চিন্তা করেছি। করোনার কারণে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ আছে। যারা মাইকের ব্যবসা করেন, ডেকরেটর ব্যবসায়ী, বাবুর্চিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমরা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা ভেবেছি। দলের পক্ষ থেকে তাদের জন্যও সাধ্য অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুরুতেই যশোর বিএনপির পক্ষ থেকে কভিড-১৯ পর্যবেক্ষণ সেল ও একটি হেল্প সেল গঠন করা হয়। হেল্প সেলে চিকিৎসকদের নম্বর দেওয়া আছে যাতে আক্রান্তরা ওই নম্বরে ফোন করে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছেন’। তিনি বলেন, ‘মহামারীর এই সময়ে বিএনপির পাশাপাশি সব অঙ্গ-সংগঠন উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর পক্ষ থেকেও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সাধ্য অনুযায়ী নগদ অর্থ সহায়তাও করা হচ্ছে। করোনা মহামারী যতদিন থাকবে, আমরা আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব’।