শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

অনলাইন শিক্ষায় ব্যবসা না করে সেবা দিতে হবে

-ড. হারুন-অর-রশিদ

অনলাইন শিক্ষায় ব্যবসা না করে সেবা দিতে হবে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, করোনার সময়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় হচ্ছে বিনিয়োগ। তাই অনলাইন শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে ব্যবসা না করে সেবা দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যান্ডউইথ সার্ভিসের সঙ্গে জড়িত তারা যদি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ব্যবসা না করে ন্যূনতম মূল্যে এটি সরবরাহ করে তবে জাতিকে বড় একটি সেবা দেওয়া হবে। ব্যবসা করার সময় অনেক রয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। সাবসিডি দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ দেওয়া উচিত। সবসময় ব্যবসার চিন্তা নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা উচিত নয়। কারণ, দেশের প্রতি, শিক্ষার্থীদের প্রতি সবারই দায়বদ্ধতা রয়েছে।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে ইন্টারনেট কানেকশন উন্নত করতে হবে। সার্বিকভাবে অনলাইন পদ্ধতিকে আরও কম ব্যয় সাপেক্ষ, টেকসই করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা একটি বৈশ্বিক মহামারী। শিক্ষার্থীরা বয়সে তরুণ। তাদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বেশি। তাদের তো জীবনের ঝুঁকির মুখে আমরা ফেলে দিতে পারি না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ কমে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রকোপ বাড়লে স্কুল আবার বন্ধ করে দিয়েছে তারা। সারা বিশ্বের মানুষের সব কর্মকান্ডই কোনো না কোনোভাবে করোনার কারণে বিঘিœত হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় অনলাইনে ১ হাজার ৪৫৮ জন শিক্ষকের ১ হাজার ৪৫৮টি কোর্সে মোট ১৭ হাজার ৫০০ ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হবে। ৩১টি ডিসিপ্লিনের এই অনলাইন ক্লাস গ্রহণ সেপ্টেম্বরের মধ্যে  শেষ হবে। একজন শিক্ষার্থী প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও খুব সহজে এই ভিডিও ক্লাস দেখতে পারবে। তিনি বলেন, আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে এক ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার। উন্নয়ন না হলে ভিন্ন পরিস্থিতির দিকে যেতে হবে আমাদের। শিক্ষক হিসেবে, দায়িত্ববান একজন ব্যক্তি হিসেবে, আমরা শিক্ষার্থীর জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাস্তবসম্মত, প্রশংসাযোগ্য।

 

সর্বশেষ খবর