শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

রাশিয়ার ভ্যাকসিনে পুতিনের মেয়ের শরীরে অ্যান্টিবডি

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনা প্রতিরোধক রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ এর কার্যকারিতা নিয়ে পশ্চিমাদের ব্যাপক সন্দেহের মুখে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মেয়ের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার খবর দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ প্রকাশকারীদের মুখে ‘চপেটাঘাতের’ মতো এই খবরে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি শরীরে নেওয়ার পর মেয়ের শরীরে সফলভাবে কভিড অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সূত্র : স্পুটনিক নিউজ।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকেই রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ নামের করোনাভাইরাসের টিকা অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ওই সময়ে তিনি বলেছিলেন, তার দেশের তৈরি টিকাটি কার্যকর ও নিরাপদ। তার দুই  মেয়ের মধ্যে একজন এ টিকা নিয়েছে। সামান্য জ্বর ছাড়া তার তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পুতিন গতকাল বলেছেন, তার যে মেয়েটি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিল, তার শরীরে কভিড অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

রাশিয়া ২৪ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘আজ আমাদের বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট যে, এই টিকাটি একটি স্থিতিশীল প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং আমার মেয়ের মতো অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এটি ক্ষতিকর নয়। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার মেয়ে ভালো আছে।’ পুতিন জানান, তার মেয়ের টিকা নেওয়ার পর প্রথম দিন তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল আর দ্বিতীয় দিন তা ৩৭ ডিগ্রির কিছুটা বেশি। ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পর তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পুতিন তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, রাশিয়ার তৈরি আরেকটি কভিড-১৯ টিকা সেপ্টেম্বর মাসে প্রস্তুত হয়ে যাবে। ১১ আগস্ট ২ মাসের কম সময়ে মানব শরীরে পরীক্ষার পরই করোনার প্রথম টিকার ঘোষণা করেন পুতিন। তিনি জানান, স্পুটনিক-৫ টিকাটি সব প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। ১২ আগস্ট থেকে টিকা উৎপাদন শুরু করে রাশিয়া। মস্কো জানায়, বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইটের নামে নামকরণ করা টিকাটি বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তারা অনুমোদন দিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের ২০টি দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে মোট ১০০ কোটি ডোজ টিকার আবেদন করেছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন টিকাটি ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। তাদের মধ্যে অর্ধেককে তরল টিকা ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা হয়, আর বাকি অর্ধেককে দ্রবণীয় পাউডার হিসেবে টিকাটি দেওয়া হয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে প্রতিরোধী সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এ টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মানতুরভ বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে আমরা টিকাটির ব্যাপক উৎপাদনে যাওয়ার জন্য সময় গুনছি।’ রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে জনগণের বড় অংশের মধ্যে টিকা প্রয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির সরকার এমন তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মানতুরভ দেশটির তাস সংবাদ সংস্থাকে জানান, ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি মাসে তারা কয়েক লাখ টিকার ডোজ তৈরি করবেন।

সর্বশেষ খবর