ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিশারবাড়ী গ্রামে একাধিক বার ধর্ষণের শিকার এক মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারকে শালিস বৈঠকে একঘরে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্ব¡া হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ওবায়দুল্লাহ। তিনি নাসিরনগর উপজেলার বড়নগর গ্রামের আবদুল্লাহ মিয়ার ছেলে। জানা যায়, ওই কিশোরীকে মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করান তার বাবা। পরে গ্রামের বড় মসজিদের ইমাম ওবায়দুল্লাহর কাছে তাকে শুদ্ধভাবে কোরআন শিখতে দেন। কয়েকদিন মসজিদেই পড়ান ওই কিশোরীকে। পরে বাড়িতে পড়াবেন বলে জানান। বাড়িতে পড়ানোর সময় গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ওবায়দুল্লাহ। পরে আরও কয়েকদিন একইভাবে ধর্ষণ করেন এবং কাউকে না জানাতে বলেন। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। বিষয়টি টের পেয়ে ইমাম গত ২৩ জুলাই তাকে দুটি ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। ট্যাবলেট খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মেয়েটির গর্ভপাত হয়। এরপর কিশোরী তার বাবাকে পুরো ঘটনা জানায়। এ অবস্থায় মাতবররা শালিসের আয়োজন করে কিশোরীর বাবাকে অপবাদ দিয়ে তাকে সমাজচ্যুত করে একঘরে করে রাখার ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ টালবাহানা করতে থাকে বলে পরিবারের অভিযোগ। নিরুপায় হয়ে গত ৯ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে মামলা করেন কিশোরীর পিতা। আদালত পিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। ছাত্রীর বাবা জানান, সমাজচ্যুত করায় কোনো কাজ কর্ম করতে পারছি না। মানবেতর জীবনযাপন করছি। ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা করেছি।