কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেছেন, করোনা মহামারীতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি নেতা-কর্মী জীবন বাজি রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে মানুষ হারানো মনোবল ফিরে পেয়েছে। টিটু বলেন, ‘করোনার প্রথম দিকে জেলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে উপজেলা নেতাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিই। তারা ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলে তা পৌঁছে দেন। এ ছাড়া ১০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করি এবং দুটি হাসপাতালে স্প্রে মেশিন প্রদান করি।’ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যখন করোনা চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন চিকিৎসকদের কোনো সুরক্ষাসামগ্রী ছিল না। এই কঠিন সময়ে আমরা তাদের পিপিই, স্প্রে মেশিন, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক দিই। এই হাসপাতালে আমরা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাও দিয়েছি। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগসহ সাধারণ কর্মীরা পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকেছেন। জেলার প্রত্যেক সংসদ সদস্য মানুষের পাশে থেকেছেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি একজন নারী হয়েও রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সহায়তা নিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন। হাওরে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকটে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে কৃষকের ধান কেটে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’ তিনি বলেন, এ ছাড়া সৈয়দ আশরাফ হটলাইন ব্রিগেড ও মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড ত্রাণকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। করোনার প্রাথমিক স্তরে ২৫ টন চাল কিনে ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ডাল, তেল, লবণ, সাবান। করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়া ৪০০ পরিবহনশ্রমিক, ২০০ নির্মাণশ্রমিক, ২০০ হোটেলশ্রমিক, ১২৫ নাপিত, মসজিদের খাদেম, ভিডিওগ্রাফারদেরও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে ৩৫ টন চাল কিনে এর সঙ্গে সেমাই, তেলসহ ৯ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।