রপ্তানি খাতের বৈদেশিক ক্রেতারা ঋণপত্র বা এলসির বিপরীতে পণ্য নিয়ে তার অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন দেশের অন্যতম চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মনজুর। এমসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি বলেন, ক্রেতারা মূল্য কমানোর অযৌক্তিক দরকষাকষি করছেন, যা আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুরের মতে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা বাংলাদেশের জন্য শুভলক্ষণ নয়। দেশে শীতে করোনার প্রভাব আরও বাড়বে। ইউরোপ ও আমেরিকার অবস্থা খুবই খারাপ দেখছি। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য নিয়ে এখন অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। অর্থ পরিশোধ না করে ক্রেতারা এখন উল্টো মূল্য কমানোর অযৌক্তিক দরকষাকষি করছেন। তিনি বলেন, এই মাসে পণ্য বিক্রি না হলে ক্রেতারা বাধ্য হয়ে মজুদ করবেন। ফলে আগামী সিজনে আমাদের অর্ডার কমে যাবে। আমরা আমাদের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বাজার নিয়ে খুবই টেনশনে আছি। আবার অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়েও চিন্তিত। দেশে কেনাকাটা কমে গেছে।
খ্যাতনামা এই ব্যবসায়ী বলেন, সবার আগে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। করোনা টেস্ট বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আগে যেসব বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলো আবার চালু করা যেতে পারে। করোনা টেস্টের মূল্য কমানো উচিত। অনেকে টেস্ট করছে না। বড় বড় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। সৈয়দ নাসিম মনজুর আরও বলেন, করোনার নেতিবাচক প্রভাব আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়বে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইরা ঋণ পাননি। এই ঋণ সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে করোনার ভ্যাকসিন এলেও জুন পর্যন্ত প্রস্তুতির সময় লাগবে। এই সময়ে এখন পর্যন্ত লকডাউনের প্রয়োজন নেই বলেও মত দেন এমসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি।