করোনা সংক্রমণে ২৬৬ দিনে দেশে ৫ হাজার ২৩৯ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষ মারা গেছেন। কোনো পরিবারে মারা গেছেন একজন, কোথাও একাধিক। পরিবারগুলো হারাচ্ছে মাথার ওপর ছায়া হয়ে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষগুলোকে। এখনো প্রতিদিন যারা মারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই ষাটোর্ধ্ব। এছাড়া মৃতদের ২৬ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ৬ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে ৭৯ দশমিক ২৭ শতাংশের বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। তবে শীত আসতেই বয়স্ক মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেশে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনই (৬৫ দশমিক ৫১ শতাংশ) ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। ৮ জনের (২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ) বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ও ২ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪১ বছরের কম বয়সী কেউ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাননি। গত এক দিনে মৃতদের ৯৩ শতাংশই ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব। গতকাল নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ৭৮৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪০৭ জন। গত এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ২৮৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৯ জনের মধ্যে ২৩ জন ছিলেন পুরুষ ও ৬ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে ২৩ জন ঢাকা, ২ জন চট্টগ্রাম, ২ জন রংপুর, ১ জন রাজশাহী ও ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।