শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিসেম্বরে পর্যটক কমে গেছে ৫০ ভাগ

-শেখ ইমরুল ইসলাম সিদ্দিকী

ডিসেম্বরে পর্যটক কমে গেছে ৫০ ভাগ

কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সিগ্যাল’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ ইমরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, করোনার কারণে হোটেল ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। লকডাউনে তো পুরোপুরি বন্ধ ছিল। অধিকাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিতে হয়েছিল। লকডাউন তোলার পর আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফের হোটেল চালু করি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ায় করোনার মধ্যেও গত তিন মাস প্রচুর পর্যটক এসেছে। কিন্তু, ডিসেম্বরে এসে পর্যটক অর্ধেকে নেমে গেছে। শুধু বিশেষ কিছু দিনে পর্যটক একটু বাড়ছে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল হোটেল-মোটেল। আমাদের প্রায় পৌনে ৩০০ কর্মী। সবাইকে রাখা সম্ভব হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু কর্মী রেখে বাকিদের ছুটিতে পাঠিয়ে দেই। আগস্টের মাঝামাঝি হোটেল চালু হওয়ার পর তাদের আবার আনা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ডিসি অফিস যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেভাবেই চলছি। অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। পর্যটক টানতে নানা প্যাকেজ দিয়েছি। হোটেল কক্ষে ডিসকাউন্ট বাড়িয়ে দিয়েছি। সাপ্লিমেন্ট খাবার বাড়িয়ে দিয়েছি। দুই বেলা খাবার দিচ্ছি। অন্য সময়ের চেয়ে ২০ ভাগ দাম কম রাখছি। আগস্টে খোলার পর ভালোই পর্যটক এসেছে। বলা যায়, গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ বছর করোনার মধ্যে পর্যটক আরও বেশি এসেছে। তবে ডিসেম্বরে এসে আবার কমে গেছে। অথচ, প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজারে।

১৩ বছর হোটেল ব্যবসার সঙ্গে থাকা শেখ ইমরুল বলেন, আগস্টের পর পর্যটক বাড়লেও ব্যবসা বেশি হয়নি, কারণ কর্পোরেট অনুষ্ঠানগুলো এবার হয়নি। কর্পোরেট অনুষ্ঠানে খাবার বিক্রি থেকে বড় একটা আয় হয়। এবার সেটা হয়নি। তবে সাধারণ পর্যটক বেশি ছিল। সম্ভবত দীর্ঘদিন মানুষ ঘরবন্দী থাকার কারণে সুযোগ পেয়েই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বেরিয়েছিল। করোনার প্রভাব খুব বেশি দিন থাকবে না এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার ধারণা জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আবার পর্যটক আসা শুরু করবে। আবারও কক্সবাজার গমগম করবে পর্যটকের পদচারণায়।

সর্বশেষ খবর