বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বামীদের মুক্তি দাবিতে পাঁচ স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় কারাবন্দী ব্যক্তিদের মুক্তি দাবিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের স্ত্রীরা। গতকাল বিকালে নগরীর একটি পার্টি সেন্টারে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন কারাবন্দী পাঁচ ব্যক্তির পাঁচজন স্ত্রী। এ ছাড়া একজন বন্দীর মেয়ে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাকের এক নাতনি ওই ছয়জনকে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

কারাগারে বন্দী ওই ছয়জন ব্যক্তি হলেন- জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামের খন্দকার আবুল খায়ের, নিজাম উদ্দিন, খোকা মিয়া, আবদুল ওহাব পাঠান, জালাল খন্দকার ও জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদ সম্মেলনে এ ছয়জনের মধ্যে নিজাম উদ্দিনের মেয়ে এবং বাকি পাঁচজনের স্ত্রীরা নিজ নিজ স্বামীকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে বন্দী খন্দকার আবুল খায়েরের স্ত্রী জোবায়দা আক্তার বলেন, গত ১৮ নভেম্বর দশপাড়া গ্রামে খুনি মোশতাকের ভাতিজা নাসিরুল কবির ও স্থানীয় মাহাবুবুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওহাব পাঠান আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এ মামলার জের ধরে খুনি মোশতাকের নাতনি (নাসিরুল কবিরের ভাগ্নি) কাজী রেহা কবির ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো লুটপাটের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ওই ছয়জনকে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনার দুই দিন পর ৩ ডিসেম্বর নাসিরুল কবির গ্রুপের আরেক সদস্য তাজুল ইসলাম মীরকে দিয়ে ওই ছয়জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি দোকান চুরির সাজানো মামলা করানো হয় কুমিল্লা আদালতে। জোবায়দা আক্তার আরও বলেন, খুনি মোশতাকের নাতনি কাজী রেহা কবির অনেক চালাক প্রকৃতির নারী। তিনি সাজানো মামলাটির বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি করতে মামলার প্রথম আসামি করেছেন দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা খুনি মোশতাকের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াককে। তিনি ভেবেছেন খুনি মোশতাকের ছেলেকে আসামি করলে আমাদের বিপদে ফেলতে পারবেন। তিনি মামলায় বলেছেন, আসামিরা বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাক ও তার পরিবারের দোসর। জোবায়দা বলেন, খুনি মোশতাকের পরিবারের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং রেহা কবির খুনি মোশতাকের আপন ভাতিজির ঘরের নাতনি। তিনি আরও বলেন, দশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হওয়া ও আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া কি আমাদের অপরাধ? আমরা রেহা কবির এবং তাজুলের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। পাশাপাশি কারাগারে বন্দী আমার স্বামীসহ ছয়জনের মুক্তি দাবি করছি। এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় কাজী রেহা কবিরের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি রোজা রেখেছি। ইফতার করে আপনাকে কল দিচ্ছি। পরে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর